ঋণ করার পর ঋণ পরিশোধে টাল-বাহানা করা অন্যায় - Hello, friend of
Key Solution, in the article you are reading this time with the title ঋণ করার পর ঋণ পরিশোধে টাল-বাহানা করা অন্যায়, we have prepared this article well for you to read and retrieve information from it.
Article ঋন, which we write, you can understand. Alright, happy reading.
Title :
ঋণ করার পর ঋণ পরিশোধে টাল-বাহানা করা অন্যায়link :
ঋণ করার পর ঋণ পরিশোধে টাল-বাহানা করা অন্যায়
Read it too
ঋণ করার পর ঋণ পরিশোধে টাল-বাহানা করা অন্যায়
ঋণ করার পর ঋণ পরিশোধে টাল-বাহানা করা অন্যায়।
শোধ করার মত ক্ষমতা ও উপায় থাকতেও অনেকে তাতে ছেঁচড়ামো করে, চাইতে গেলে অনেকে রেগে ওঠে, অনেকে ব্যঙ্গ করে, অনেকে বলে, 'দেখ, কয়টা টাকা পাবে তো বারবার এসে ঘর খাল করে দেবে।' কেউ বলে, 'টাকাটা কি মেরে দেব নাকি, খেয়ে নেব নাকি?' অনেকে বলে, 'তুমি তো বড়লোক মানুষ। তোমার টাকা নেওয়ার এত তাগাদা কেন? তোমার তো ব্যাংকেই থাকবে। আর ব্যাংকের সূদও তো খাবে না? ব্যাংকে থাকা আর আমার কাছে থাকা সমান।' ইত্যাদি।
এমন লোকেরা 'নেওয়ার সময় খুশিখুশি, দেওয়ার সময় কষাকষি' প্রদর্শন করে থাকে। নেওয়ার সময় সুচ হয়ে আসে, কিন্তু দেওয়ার সময় ফাল হয়ে যায়। নেওয়ার আগে বারবার সালাম দেয়, দাওয়াত খাওয়ায়, কিন্তু দেওয়ার সময় দূরে থেকে নমস্কার জানায়, অথবা সাক্ষাৎ হওয়ার ভয়ে দূর থেকে দেখেই অন্য পথ ধরে। অনেকে মিথ্যা বলে, 'ঘরে নেই, টাকা নেই' ইত্যাদি বলে এমন ছেঁচড় সাজে যে, পরিশেষে ঋণদাতাই পুনরায় তার নিকট থেকে নিজের প্রাপ্য চাইতে লজ্জাবোধ করে। অনেকে মিষ্টি মিষ্টি কথায় এমন সংকোচময় পরিবেশ সৃষ্টি করে যে, ঋণদাতা ঋণ দিয়ে হায়-পস্তানি করতে থাকে। কারো কাছে প্রকাশ করলেও এমন ছেঁচড়ের নাকি অপমান হয়। তখন 'উল্টে চোর গৃহস্থকে ডাঁটে।'
কিন্তু আমাদের মহানবী ﷺ বলেন, “ঋণ পরিশোধে সক্ষম ব্যক্তির টাল-বাহানা নিজের জন্য অপমান ও শাস্তিকে বৈধ ক’রে নেয়।” (আবূ দাঊদ ৩৬২৮, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ ৩৬২৭, ইবনে হিব্বান ১১৬৪, হাকেম ৪/১০২, বাইহাকী ৬/৫১, আহমাদ ৪/২২২, ইরওয়াউল গালীল ১৪৩৪ নং)
আব্দুল্লাহ বিন মুবারাক বলেন, অর্থাৎ তার প্রতি কঠোর বাক্য প্রয়োগ ক’রে তাকে লজ্জিত করা এবং আইনের মাধ্যমে তাকে হাজতে দেওয়া বৈধ হয়ে যায়। (মিশকাত ২৯১৯ নং)
মহানবী ﷺ আরো বলেন, “ঋণ পরিশোধে সামর্থ্য ব্যক্তির টাল-বাহানা করা অন্যায়।” (বুখারী, মুসলিম, আহমাদ ২/২৫৪, আবূ দাঊদ ৩৩৪৫ নং, নাসাঈ, তিরমিযী, দারেমী, বাইহাকী ৬/৭০ প্রমুখ)
ঋণীর উচিত এবং শতভাবে উচিত, উপকারের বদলা উপকার ক’রে দেওয়া। যথাসময়ে প্রাপকের প্রাপ্য আদায় ক’রে দেওয়া এবং টাল-বাহানা করে অথবা অস্বীকার করে লোকের মাল হরফ না করা।
কিন্তু আপনি অনেক সময় দেখবেন, বাহ্যতঃ আমানতদার ও মুত্তাকী মানুষ অতি বিনয় ও কাকুতি-মিনতির সাথে আপনার নিকট এসে মধুর ভাষায় ঋণ চেয়ে বসবে। এমনও হতে পারে যে, আপনার ঋণ দেওয়ার মত তত পরিমাণ অর্থ নেই, অথবা ঐ অর্থ আজ বা কাল আপনার নিজের প্রয়োজনে ব্যয় করার ইচ্ছা আছে। কিন্তু সে আপনাকে আপনার দানশীলতা স্মরণ করিয়ে দেবে, সওয়াবের কথা মনে করিয়ে দেবে, দাওয়াত ক’রে খাইয়ে দেবে, ছোটখাটো উপহার দান করবে, আবার অনেক সময় এমন লোক দ্বারা সুপারিশ করিয়ে নেবে, যার কথা আপনি রদ্দ করতে পারবেন না। ফলে আপনার মন না চাইলেও আপনি তাকে ঋণ দিতে বাধ্য হবেন। গোপনে তার হাতে টাকা ধরিয়ে দেবেন, আর এ ব্যাপারে সাক্ষী রাখতে এবং ঋণ-পত্র লিখতে লজ্জাবোধ করবেন, অথচ মহান আল্লাহ এ কাজ আমাদের জন্য ওয়াজেব না করলেও মুস্তাহাব বলে কুরআন কারীমের সবচেয়ে লম্বা আয়াতে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
যাই হোক, সে আপনার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনার উপকার ও অনুগ্রহের বড় প্রশংসা করবে। হয়তো বা তার এই অতিরিক্ত ও ভূয়সী প্রশংসায় আপনি লজ্জাবোধ করবেন। তারপর সালাম জানিয়ে আপনার কাছ থেকে বিদায় নেবে। কিন্তু তারপর?
তারপর তার আর দেখা পাবেন না। তার টিঁকিও আর নজরে আসবে না। পথে দেখা হলে আপনাকে দেখে অন্য পথ অবলম্বন করবে। আপনি তাকে খোঁজ করবেন। ঋণ পরিশোধের জন্য নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। আপনারও টাকার বিশেষ দরকার পড়েছে। আপনি আপনার প্রাপ্য তার নিকট চাইবেন,
কিন্তু সে আপনার ছায়া থেকে বহু দূরে দূরে থাকবে। আপনি তার বাড়ির দরজায় করাঘাত করবেন, বাড়ির লোক আপনাকে বলবে, 'সে বাড়িতে নেই।' আপনি সকালে আসবেন, বলবে, 'সে ঘুমিয়ে আছে।' অতঃপর ফিরে গিয়ে এক ঘন্টা পরে আসবেন, বলবে, 'সে বাইরে গেছে।' ভাগ্যক্রমে তার সঙ্গে দেখা হলে বা ফোনে কোন প্রকার কথা হলেও সে কিন্তু আপনার ঋণের কথা তুলবে না। যত তাড়াতাড়ি পারে আপনার বলার আগে সালাম দিয়ে বিদায় নিতে চাইবে। যেন সে আপনার কাছ থেকে কিছুই নেয়নি।
কথা হলেও ওয়াদা দেবে। কিন্তু ওয়াদা-খেলাপি করবে। তখন তার 'দিয়ে দেব ইনশাল্লা’ মানে হবে 'দেব নারে শালা!’
তখন আপনাকে নিশ্চয়ই অন্য উপায় খুঁজতে হবে। তার বন্ধুদের দ্বারা এ ব্যাপারে সুপারিশ করাবেন, তখন তার প্রেসটিজে লাগবে, সে রেগে উঠবে। নাক সিঁটকে বলে উঠবে, 'আরে ভাই! ক'টা টাকা ঋণ দিয়ে আমাকে পেরেশান করে দিলে। টাকাটার জন্য আজব কচকচানি। তোমার কি ভয় হয় যে টাকাটা আমি খেয়ে ফেলব?' সে আপনাকে ধমক দেবে! অথচ আপনি তার সাথে নরম কথা বলবেন। আর এটাই বাস্তব।
পরিশেষে সে যদি 'ভাল' লোক হয়, তাহলে আপনার টাকা পরিশোধ করবে; কিন্তু ৫০/১০০ করে। এর ফলে ঋণ আদায় করতে আপনার ঘাম ছুটে যাবে। তখন মাল আপনার ফিতনা হয়ে দাঁড়াবে। তার পিছনে নিজ মূল্যবান সময় ব্যয় করবেন। অথচ ঐ টাকা ফেরৎ পেয়েও কোন উপকৃত হতে পারবেন না। সে আপনার নিকট থেকে এক সঙ্গে থোকে নিয়ে আপনাকে কিছু কিছু ক’রে অল্প অল্প পরিমাণ শোধ করবে। বলা বাহুল্য, আপনি নিজের কাজের সময় সম্পূর্ণ টাকা এক থোকে ব্যয় করতে পাবেন না।
পরন্তু কিস্তীতে পরিশোধ নিতে গিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হবে। আপনি বলবেন, '৫০০০ হয়েছে’, আর সে বলবে, '৫৫০০ হয়েছে।’ ঋণ কত দিয়েছেন, তা নিয়েও মতভেদ হতে পারে। সে বলবে, ৫০০০, আর আপনি বলবেন, 'বরং সাত হাজার।’
পক্ষান্তরে লোক যদি দায়-দায়িত্বহীন মন্দ হয়, তাহলে তো সে আপনার সম্পূর্ণ ঋণই খেয়ে বসবে, ঋণ যে নিয়েছে, সেটাই ভুলে যাবে, ফলে ঋণকেই অস্বীকার ক’রে বসবে! সাক্ষাৎ হয়ে চাইতে গেলেই কপাল চড়িয়ে, ভ্রূ কুঞ্চিত করে, চিৎকার করে বলে উঠবে, 'আমি তোমার ধারি না যাও। কী করবে করে নাও। থানা যাও, কোর্ট যাও---।' আর সে জানে যে, আপনার হাতে তার বিরুদ্ধে কোন দলীল-প্রমাণ নেই। কারণ, তখন আপনি লেখালিখি করতে লজ্জা করেছেন। সুতরাং থানা-পুলিশ ক’রে কোন লাভও হবে না।
আর যদি মেনেই নিই যে, আপনি ঋণ দেওয়ার সময় ঋণ-পত্র লিখে স্বাক্ষর-সাক্ষী রেখেছেন। তবুও কি কেস করে তার ফায়সালার অপেক্ষায় এত লম্বা সময় আপনি ধৈর্য রাখতে পারবেন? কেস করার থেকে আপনার ঐ টাকা নষ্ট হওয়াই ভাল হবে। কেননা, কেস করে তো বিড়াল লাভের জন্য মহিষ বিক্রি করতে হবে। আর তাতে আপনি নাকের বদলে নরুন পাবেন। নচেৎ ঢাকের দায়ে মনসাই বিকিয়ে যাবে।
('কিয়ামতের দিনে আদায় করব' বললে অনেকে বলে, 'ভালো করলে, অনেক লম্বা সময় দিলে, শুকরিয়া তোমার!')
সুতরাং হে ভাই ঋণী! এহসানীর বদলা কি এহসানী নয়? (খত্বরুদ দুয়ূন ৬পৃঃ)
পক্ষান্তরে এমনও কিছু চালাক লোক আছে, যারা আপনার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চট করে 'ফিক্সড ডিপোজিট' করে দেবে। অতঃপর ৫/৭ বছর সে টাকা আপনাকে শোধ না দিয়ে ব্যাংকে তা 'ম্যাচুরিটি' হয়ে ডবল হলে আপনাকে আপনার ঋণ ফেরৎ দিয়ে সূদ খেয়ে তৃপ্তি পাবে!
অনেক ধৃষ্ট ঋণগ্রহীতা আছে, যারা ঋণ নেবার সময় লিখালিখি করতে সম্মানে বাধায়, কিন্তু পরিশোধের সময় দাতার কাছে টাকা ফেরৎ পাওয়ার স্বাক্ষর করিয়ে নিতে লজ্জাবোধ করে না। এমন লোকেরা কি দ্বিতীয়বার ঋণ পাওয়ার যোগ্য? বলা বাহুল্য নানা ভোগান্তির কারণেই বহু মহাজন বলে থাকে,
'আজ নগদ কাল ধার,
ধারের পায়ে নমস্কার।'
(যাঁরা ঋণ দিয়েছেন অথবা নিয়েছেন, তাঁরা আমার 'দেনা-পাওনা' বইটি অন্ততঃ একবার পড়ুন।)
আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
Donation | Pay For Mosque মসজিদের জন্য দান করুন '
আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক' প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
That's all Articles ঋণ করার পর ঋণ পরিশোধে টাল-বাহানা করা অন্যায়
Past stories ঋণ করার পর ঋণ পরিশোধে টাল-বাহানা করা অন্যায় this time, hopefully can benefit you all. okay, see you in another article posting.
in the article you are reading this time with the title ঋণ করার পর ঋণ পরিশোধে টাল-বাহানা করা অন্যায় with the link address https://keysolution4u.blogspot.com/2020/07/blog-post_20.html
0 Response to "ঋণ করার পর ঋণ পরিশোধে টাল-বাহানা করা অন্যায়"
Posting Komentar