ক্ষুধার্তকে খাদ্য না খাওয়ানোর শাস্তি

ক্ষুধার্তকে খাদ্য না খাওয়ানোর শাস্তি - Hello, friend of Key Solution, in the article you are reading this time with the title ক্ষুধার্তকে খাদ্য না খাওয়ানোর শাস্তি, we have prepared this article well for you to read and retrieve information from it. Article এতিম, which we write, you can understand. Alright, happy reading.

Title : ক্ষুধার্তকে খাদ্য না খাওয়ানোর শাস্তি
link : ক্ষুধার্তকে খাদ্য না খাওয়ানোর শাস্তি

Read it too


ক্ষুধার্তকে খাদ্য না খাওয়ানোর শাস্তি




🔵ক্ষুধার্তকে খাদ্য না খাওয়ানোর শাস্তি
ক্ষুধার্তকে না খাওয়ানো ব্যক্তি পূর্ণ মু'মিন নয় এবং দুনিয়া-আখিরাতে ভয়াবহ শাস্তির সম্মুখীন হবে।


(১) ঐ ব্যক্তি ক্বিয়ামতকে অস্বীকারকারী যে ব্যক্তি ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করে না এবং খাদ্য দান করতে উৎসাহিত করে না। কেননা,

মহান আল্লাহ বলেন,

ﺃَﺭَﺃَﻳْﺖَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﻜَﺬِّﺏُ ﺑِﺎﻟﺪِّﻳﻦِ، ﻓَﺬَﻟِﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺪُﻉُّ ﺍﻟْﻴَﺘِﻴﻢَ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺤُﺾُّ ﻋَﻠَﻰ ﻃَﻌَﺎﻡِ ﺍﻟْﻤِﺴْﻜِﻴْﻦِ -

‘তুমি কি দেখেছ তাকে, যে বিচার দিবসে মিথ্যারোপ করে? সে হ’ল ঐ ব্যক্তি, যে ইয়াতীমকে গলাধাক্কা দেয় এবং অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দানে উৎসাহিত করে না’।
সূরা মাঊন,আয়াতঃ(১-৩)।

মু'মিন কখনো ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান না করে থাকতে পারে না। আর যে এটা করে সে প্রকৃত মু'মিন নয়। তাইতো রাসূল(সাঃ) স্পষ্টভাবে বলেছেন, 'ঐ ব্যক্তি অবশ্যই মু'মিন নয় যে নিজে পেট ভর্তি করে খায় আর তার গরীব প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে’।
বায়হাক্বী শো‘আব হা/৩৩৮৯;
হাকেম হা/২১৬৬; মিশকাত হা/৪৯৯১; সহীহাহ হা/১৪৯।

(২) দুনিয়াতেই ভয়াবহ আযাবের সম্মুখীনঃ ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করে না এমন ব্যক্তি দুনিয়াতেই আল্লাহর পক্ষে থেকে শাস্তি বা গযবের সম্মুখীন হবে।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তার রূযী সংকুচিত করেন, তখন সে বলে যে, আমার প্রভু আমাকে হেয় করেছেন। কখনোই এরূপ নয়। বরং তোমরা ইয়াতীমকে সম্মান কর না। এবং অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না’।
সূরা ফজর,আয়াতঃ(১৬-১৮)।

অতএব, ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান না করলে এবং তাদেরকে খাওয়ানোর জন্য মানুষকে উৎসাহিত না করলে মহান আল্লাহ যে দুনিয়াতে আমাদের নে‘মত কমিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে শাস্তি দিবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। অতীতে ও তিনি এমন ব্যক্তিদের দুনিয়াতেই শাস্তি দিয়েছেন।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘কয়েকজনের একটি বাগান ছিল। যখন বাগানের ফলগুলি পাড়ার উপযুক্ত হয়েছিল। তারা রাতের বেলা বলল, আমরা অবশ্যই সকালে ফলগুলি সংগ্রহ করব, তারা ইনশা-আল্লাহ বলল না এবং তারা সিদ্ধান্ত নিল বাগানে কোন ক্ষুধার্তকে ঢুকতে দিবে না এবং খাদ্য দান করবে না। সারা রাত তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল রইল। সেই রাতেই আল্লাহর গযবে সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেল। পরদিন যখন তারা বাগানে পৌঁছল, তারা বলল, আমরা পথ ভুল করিনি তো? কিন্তুু কিছুক্ষণ পরেই তারা বুঝতে পারল। তারা মহান আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করল এবং বাগানের মালিকেরা বাগানটি ধ্বংসের জন্য একে অপরকে দোষারপ করতে লাগল। কেননা তারা ক্ষুধার্তকে খাবার না দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় ছিল'।
সূরা ক্বালাম,আয়াতঃ(১৭-৩১)।

(৩) পরকালে আযাবের ফেরেশতার সম্মুখীনঃ ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করে না এমন ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি ভোগ করবে। জাহান্নামের পাহারাদার আযাবের ফেরেশতার কঠিন প্রশ্নের ও সম্মুখীন হবে ঐ ব্যক্তি।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে কোন অপরাধে তোমরা সাকারে (জাহান্নাম) এসেছ। জাহান্নামীরা বলবে, আমরা তো মুসল্লী ছিলাম না। আর আমরা ক্ষুধার্তকে খাওয়াতাম না’।
সূরা মুদ্দাসসির,আয়াতঃ(৪২-৪৪)।

(৪) জাহান্নামে সরাসরি প্রবেশঃ
মহান আল্লাহর উপর ঈমানহীন, অভাবী, নিঃস্ব-ক্ষুধার্তদেরকে খাদ্য দান করতে উৎসাহ দেয় না এমন ব্যক্তি অপমানিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘ঐ ব্যক্তিকে ধর এবং গলায় রশি লাগিয়ে দাও অতঃপর নিক্ষেপ কর জাহান্নামে, সে তো ঈমান আনেনি মহান আল্লাহর উপরে আর সে অভাবী-ক্ষুধার্তদেরকে খাবার খাওয়ানোর ব্যাপারে মানুষকে উৎসাহিত করেনি’।
সূরা হাক্কাহ,আয়াতঃ(৩০-৩৪)।

মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করার তাওফীক দান করুন এবং এর দ্বারা দুনিয়া-আখেরাতে তার শাস্তি হ’তে বাঁচার এবং জান্নাত লাভ করার তাওফীক দিন-আমীন!


That's all Articles ক্ষুধার্তকে খাদ্য না খাওয়ানোর শাস্তি

Past stories ক্ষুধার্তকে খাদ্য না খাওয়ানোর শাস্তি this time, hopefully can benefit you all. okay, see you in another article posting.

in the article you are reading this time with the title ক্ষুধার্তকে খাদ্য না খাওয়ানোর শাস্তি with the link address https://keysolution4u.blogspot.com/2020/07/blog-post_33.html

0 Response to "ক্ষুধার্তকে খাদ্য না খাওয়ানোর শাস্তি"

Posting Komentar